৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

 

আজ চৈত্র সংক্রান্তি,কাল বাংলা নববর্ষ

আপডেট: এপ্রিল ১৩, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক  : আজ চৈত্র সংক্রান্তি, কাল বাংলা নববর্ষ। বাংলা ১৪২৬ সনের শেষ দিন আজ। এ দিনটিকে চৈত্র সংক্রান্তি বলা হয়। প্রতি বছর ঘটা করে দিনটা উদযাপনও করা হয়। আগামী কাল ১৪২৭ সনের প্রথম দিন বাংলা নববর্ষ।

প্রতি বছর জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে কাল এ আহ্বান জানাবে গোটা বাঙালি জাতি। কিন্তু এবারের পেক্ষাপট ভিন্ন। করোনা সম্প্রতি ভাইরাস মহামারি আকার নেয়ায় এবছর চৈত্র সংক্রান্তি কিংবা নববর্ষ উদযাপন হচ্ছে না। এ নিয়ে বালা ভাষা ভাষিদের মধ্যে খেদ থাকলেও ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবাই বিনাবাক্য ব্যয়ে মেনে নিয়েছেন। এবার হচ্ছে না বর্ষবরণ।

বাংলা সনের সমাপনী মাস চৈত্রের শেষ দিনটি সনাতন বাঙালির লৌকিক আচারের চৈত্রসংক্রান্তি। প্রতিবছর রাজধানীতে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও গানের দল সুরের ধারা দিনটি ব্যাপক আয়োজনে উদযাপন করলেও এবার কোনো আয়োজন নেই। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে সুরের ধারার চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান রাতভর চলার পর শেষ হয় হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে। এবার এ অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না।

তবে, নাগরিক জীবনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরোধা সংগঠন ছায়ানটও তাদের ঐতিহ্যবাহী রমনা বটমূলের প্রভাতি অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। তবে রমনা বটমূলের বিগত কয়েক বছরের অনুষ্ঠান গুলোর ভিত্তিতে একটি ধারণকৃত অনুষ্ঠান বিটিভি প্রচার করবে।

এ প্রসঙ্গে ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন বলেন,বর্তমান মহামারিতে বিশ্বজুড়ে অগণ্য মানুষের জীবনাবসান ও জীবনশঙ্কার ক্রান্তিলগ্নে ছায়ানট এবার ‘উৎসব নয়,

১৯৬১ সালে যাত্রা শুরু করা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের ভোরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে আসছে। এর আগে মাত্র একবার মুক্তিযুদ্ধকালে অনুষ্ঠানটি হয়নি। এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে।

চৈত্র সংক্রান্তি এক সময় গ্রামীণ জনপদের প্রধান উৎসব হলেও কালের প্রবাহে একসময় নাগরিক জীবনেও স্থান করে নেয় । এ উপলক্ষে দেশজুড়ে এখনো চলে নানা ধরনের মেলা, উৎসব। হালখাতার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানো,লাঠিখেলা,গান,আবৃত্তি, সঙযাত্রা,রায়বেশে নৃত্য,শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠান।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত করোন ভাইরাসের র্সংক্রমণ ঠেকাতে সবই স্থগিত করা হয়েছে। দেশজুড়ে লকডাউন -সাধারন মানুষ করোনার আতঙ্কে গৃহবন্দী। বর্ষবরণ তো দূরে থাক নিজের জান বাঁচানো এখন ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিনিয়ত মাঠে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবাইকে বারবার বলা হচ্ছে জনসমাগম এড়িয়ে থাকার জন্য। একই সাথে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী শেখ হাসিনা, নির্দেশ দিয়েছেন এবার বাংলা নববর্ষ’ঘরে বসে পালন করতে,দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থে।

তাই,আসুন সবাই ঘরে বসে থেকেই উদযাপন করি বাংলা নববর্ষ। নিজে নিরাপত্তা থাকি, অন্যদেরকে ও নিরাপদে রাখি-এই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে রাখি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network