রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যে কোন সময় শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক বছরেরও বেশি সময়ের টানাপড়েন শেষে সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ আর নিপীড়নের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সম্মত হয়েছে।
মার্কিন বার্তা সংস্থা থমসন রয়টার্স বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কূটনীতিক সূত্রের বরাত দিয়ে গত বৃহস্পতিবার এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে সম্প্রতি যে ২২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম ধাপে তিন হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গা স্বদেশে ফিরবে।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে মাতৃভূমি থেকে উৎখাত হয়ে সাত লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু হিসেবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। সে সময় জাতিসংঘ এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে উল্লেখ করেছিল। এ ছাড়া বাংলাদেশে আগে থেকেই অবস্থান করছে আরো চার লাখ রোহিঙ্গা।
অনেক দেনদরবার শেষে পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সে অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণও ঠিক হয়। কিন্তু রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহাসহ নানা জটিলতার কারণে আর সে প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হয়নি। এ সময়ে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থার কাছে তুলে ধরে এবং এ ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা চায়।