রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামী আরিয়ান শ্রাবনকে আরো ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আরিয়ান শ্রাবনকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য আবেদন করেছিলেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গত ৮ জুলাই ভোররাত সাড়ে ৪ টার দিকে বরগুনা শহর থেকে আরিয়ান শ্রাবনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন বিকালে শ্রাবনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলো আদালত। শনিবার তাকে আবার ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হলো।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, শনিবার বিকেল পর্যন্ত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ৭ জনসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, অন্য আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, গত পহেলা জুলাই মামলার এজাহারভূক্ত ১১ নম্বর আসামী অলি ও তানভীর, ৪ জুলাই রাতে মামলার ৪ নম্বর আসামী চন্দন ও ৯ নম্বর আসামী মো. হাসান, ৫ জুলাই রাতে মো. সাগর ও নাজমুল হাসান এবং ১০ জুলাই রাতে রাফিউল ইসলাম রাব্বী আদালতে হাজির হয়ে বিচারকের সামনে রিফাত শরীফ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭ জন আসামী হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
প্রধান আসামী নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই ভোররাতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। দ্বিতীয় আসামী রিফাত ফরাজীকে ৩ জুলাই রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রিফাত ফরাজীকে হত্যা মামলায় ৭ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অস্ত্র মামলায় আরো ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আগামী মঙ্গলবার তার রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হবে। এছাড়াও টিকটক হৃদয়কে ৫ দিন ও রাতুল সিকদারকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের রিমান্ডের মেয়াদ আগামীকাল শেষ হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।