গত ১ জুলাই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে বিভিন্ন ধাপে শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে যাচাইবাছাই করে যোগ্য এবং মেধাবী প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়। দেশের অন্য জেলার মত টাঙ্গাইলেও পুলিশ কনস্টবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর প্রায় সাত হাজার নারী ও পুরুষ প্রার্থী লাইনে দাঁড়ায়। এদের মধ্যে প্রাথমিক বাছাই শেষে শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে ৭৩৩ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়।
গত ২ জুলাই অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে ২৫৩ জন প্রার্থী কৃতকার্য হয়। সবশেষে শিক্ষানবিশ পুলিশ কনস্টবল (টিআরসি) হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগ পান ১৩৬ জন।নিয়োগ পাওয়া গোপালপুর থানার রুনা খাতুন একজন ভ্যান চালকের মেয়ে। তিনি জানান, মাত্র ১০০ টাকায় যে তার চাকরি হবে, তা সে জীবনে কল্পনাও করতে পারেনি। ভ্যান চালকের মেয়ে বলে টাকার অভাবে লেখাপড়া করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। চাকরিটা তার খুব দরকার ছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের খবর পেয়ে স্থানীয় ফটোকপির দোকান থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংগ্রহ করে ব্যাংক চালানসহ মোট ১১০/- টাকা খরচ করেন তিনি। তিনি সৎভাবে চাকরি করে দেশ ও জনগণের সেবা করতে চান।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের প্রায় এক মাস পূর্ব থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টানানো হয়েছে। এবার আর্থিক লেনদেনসহ সব অনিয়ম ও সুপারিশ পরিহার করে সুষ্ঠুভাবে পুলিশ কনস্টবল নিয়োগের বিষয়টি সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। পুলিশ কনস্টবল ভর্তি নিয়ে কড়া নির্দেশনা ছিল আইজিপি মহোদয় এবং ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জ মহোদয়ের। ভর্তি শুরুর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলাম “যোগ্যতা আছে যার চাকরি হবে তার, শতভাগ মেধা ও যোগ্যতা ভিত্তিক নিয়োগই টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের অঙ্গীকার”।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল