টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় ও রেললাইন ডুবে যাওয়ায় দেশের পাঁচ জেলার সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
পানির স্রোতে গাইবান্ধার বাদিয়াখালিতে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় সান্তাহার-লালমনিরহাট-রংপুর রেলওয়ে রুটে সকল ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া, গাইবান্ধা-সাঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ভরতখালি ইউনিয়নের পোড়া গ্রাম এলাকায় ১০০ মিটার বাধ ভেঙ্গে সাঘাটা সড়ক তলিয়ে গেছে।
আর জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জামালপুরে রেল লাইনে পানি ওঠায় ইসলামপুর-দেওয়ানগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই এলাকার প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ৯ দিন বন্ধ থাকার পর আজ বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি বাড়ায় ২২টি ইউনিয়নের ১০১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। যমুনার ভাঙ্গণে ভিটে-মাটি হারিয়েছে জেলার ৫ শতাধিক পরিবার। সিরাজগঞ্জে কাজিপুরে যমুনার পানি বেড়ে জেলা পরিষদের বিকল্প রিং বাঁধ ধসে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে তিনটি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২শ পরিবার।
বগুড়ায় যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বাড়তে থাকায় জেলার আড়াই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অন্তত ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে যমুনার তীর রক্ষা বাঁধে।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ অধিকাংশ নদ-নদীর পানি বেড়ে ৪০৭টি গ্রামের প্রায় চার লাখ মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। তবে, বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল কমে আসায় সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।