আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২০
রওশন হাবিব, গাইবান্ধা থেকে : উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত এবং ভারী বর্ষণের কারণে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ চুঁইয়ে পানি অপর পাড়ে যাচ্ছে। এতে বাঁধটি চরম হুমকির মুখে পড়েছে। বন্যার পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙ্গে ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। তবে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এছাড়া খোলাহাটি ইউনিয়নের কিশামত বালুয়া এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ চুঁইয়ে পানি পড়ায় তা হুমকির মুখে পড়েছে।
এদিকে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় পানিবন্দি পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। শুকনো খাবার ও জ্বালানির অভাবে খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যার্ত মানুষ। এছাড়া গোবাদি পশুরও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার অনেকে ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বন্যা কবলিত ৪টি উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২১ হেক্টর জমির পাট, আমন বীজতলা, আউশ ধান এবং বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে।