১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

 

নাগরপুরে সরকারী বিধি নিষেধ মানছে না ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা

আপডেট: জুলাই ৩, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

 

মোঃ আজিজুল হক বাবু, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) থেকে :মহামারি করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে সীমিত পরিসরে শপিংমল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয় সরকার। গেল ১০ মে থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি পান ব্যবসায়ীরা। এ সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ বেশ কয়েকটি শর্ত দেয়া হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে। কিন্তু ঈদের পরেই পাল্টে গেছে মার্কেটের রূপ। করোনার ঝুঁকিতেও সামাজিক দূরত্ব না মেনে মার্কেট ও শপিংমলে ভিড় করছেন ক্রেতারা। আবার ব্যবসায়ীরাও সঠিক সুরক্ষার ব্যবস্থা তেমন করছেন না। এতে বেড়ে যাচ্ছে করোনার ঝুঁকি। নাগরপুর সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়ে চলছে করোনা আক্রান্তের হার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে দোকানপাট, মার্কেট এবং শপিংমল চালু করার অনুমতি প্রদান করে উপজেলা প্রশাসন। নাগরপুর উপজেলা সদরে হাজী সুপার মার্কেট, নাহার মার্কেট, খালেক সুপার মার্কেট, রৌফ সুপার মার্কেট, টসর সুপার মার্কেট, তালুকদার সুপার মার্কেট, থ্রি স্টার মার্কেট সহ বিভিন্ন কসমেটিক্স দোকান ও মার্কেটে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে না, নেই কোন সামাজিক দূরত্ব । তবে কিছু কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা বেশ সচেতন। তারা নিজেরা যেমন মাস্ক ও জীবাণুনাশক ব্যবহার করছে তেমনি ক্রেতাদেরও এসব ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করছে। তবে বেশির ভাগ মানুষ বিভিন্ন অজুহাতে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। যে জিনিসপত্র এখন না কিনলেও চলবে সেগুলোও কেনার জন্য বাইরে এসে সংক্রমিত হচ্ছেন কেউ কেউ। অযাচিত ভাবে এমন চলাচলে উপজেলায় করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে দিন দিন। নাগরপুর সদর উপজেলা থেকে আসা ক্রেতা সহাদেব রায় জানান, আমি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হই না। তবে বাইরে এলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে পারছিনা। নাগরপুর কাঁচা বাজার ও অন্যান্য মার্কেট গুলোতে এখন অনেক ভীড়। আমাদেরকে বাঁচাতে আবার মার্কেট বন্ধ রাখা উচিত। তা না হলে করোনা যে হারে বেড়ে চলছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে আক্রান্তের হার অন্য যেকোন থানার রেকর্ড ভাঙ্গতে পারে আমাদের থানা। ক্রেতা হৃদয় মিয়া বলেন, শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট খুলে দেয়ায় করোনা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আমার ধারনা। কারন অকারনেই আমরা মার্কেটে ঘুরাফেরা করছি। সীমিত আকারে মার্কেট, দোকান খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় আমরা হুমকির মধ্যে পরেছি। করোনায় আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। তাই দোকানপাট, শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ করা জরুরি। তা নাহলে বড় বিপদের সম্মুখীন হবে নাগরপুর বাসী। খালেক সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী ও বনিক সমিতির আহবায়ক মোঃ হাবিবুর রহমান লিটন সাংবাদিকদের বলেন , সরকারী বিধি নিষেধ ও সামাজিক দুরত্ব ব্যবসায়ীরা মানলেও ক্রেতারা মানছে না।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network