২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

 

বেতনভাতার দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি গেটে খনি শ্রমিকদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

আপডেট: জুন ২১, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিকরা বেতন-ভাতার দাবিতে রবিবার আবাসিক গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে দিনভর বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে।

এ সময় খনির ভেতর থেকে বাইরে এবং বাহির থেকে ভেতরে কাউকে যাতায়াত করতে দেয়নি অবস্থানকারী শ্রমিকেরা।

খনি গেটে বিক্ষোভ শেষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শাখা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রতন, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মাহাবুবুল আলম, পর্যদ পরিচালক রায়হানুল ইসলমা, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মো. লিটন প্রমুখ।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে কয়লাখনি লকডাউন করে দেওয়ার কারণে কর্মরত প্রায় এক হাজার খনি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় গত দুই মাস অতিবাহিত করার পর খনি কর্তৃপক্ষ সীমিত অকারে কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন। এ সময় শ্রমিকদের নিয়োগকারী চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি, সিএমসি ও জেএসএমই কনসোর্টিয়াম ৪০০ শ্রমিক কাজে যোগদানের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। এতে করে বেশির ভাগ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে থাকবেন। উপরোন্ত লকডাউনে থাকা অবস্থায় মার্চ থেকে এ পর্যন্ত কোন শ্রমিককেই কোন বেতনভাতা দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষের সাথে রবিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ভবানীপুর শেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে শ্রমিকদের সাথে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের এক সমঝোতা বৈঠক হয়।

বৈঠকে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত উদ্বৃত্তি দিয়ে খনি কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জানান, চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লকডাউন সময়ে মার্চ ও এপ্রিল মাসে শ্রমিকদের ৭ হাজার টাকা করে বেতনভাতা প্রদান করবেন এবং বর্তমানে যেসব শ্রমিককে কাজে লাগানো হবে তাদেরকে পূর্ণ বেতনভাতা দেওয়া হবে। তবে জুন ও জুলই মাসে খনি কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে শ্রমিকদের সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে বেতনভাতা দেওয়া প্রস্তাব দেন। কিন্তু শ্রমিকদের দাবী ৭০০ হাজার টাকার। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোন সমঝোতা না হয় বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের দাবী মানা না হলে আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে।

খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, শ্রমিকদের বিষয়টি সমাধানের জন্য শ্রমিকদের সাথে সমঝোতা বৈঠক করা হয়েছে। শ্রমিকদের বিষয়টি নিয়ে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network