আপডেট: জুন ২১, ২০২০
মোঃ আজিজুল হক বাবু, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) থেকে: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বেকড়া- তেবারিয়ার (শহীদ গুলমহাম্মদ বীর প্রতিক) গ্রোথসেন্টার সংযোগকারী রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হইয়ে আছে। এলাকাবাসী এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও কোন লাভ হয়নি । অথচ এটি এ এলাকার হাজার হাজার মানুষের একমাত্র চলাচলের রাস্তা। পণ্য পরিবহন, শিক্ষার্থীদের স্কুল – কলেজে যাতায়াত, অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নেওয়া আনা বহুবিধ কাজে এ রাস্তাটি ব্যবহৃত হয়। রাস্তাটির পাশেই হাফেজিয়া মাদ্রাসা,এতিমখানা, কবরস্থান, কামেল মাদ্রাসা, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গ্রোথসেন্টার ,এসটি.আই উচ্চবিদ্যালয় ও জনতা ডিগ্রী কলেজ। এ রাস্তাটি গ্রামের সাধারণ মানুষকে তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে শহরের বাজার গুলোতে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই গ্রামের অর্থনীতিকে সচল রাখতে রাস্তাটি সংস্কার করে ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি বারবার অনুরোধ জানিয়েছে এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেকড়া- তেবারিয়ার এ রাস্তাদিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল, পণ্য পরিবহন, জরুরী কাজে শহরে যাওয়া আসা, অসুস্থ রোগীকে হাসপালাতে নেওয়া নানাভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্ষার শুরুতে ভোগান্তি বেড়েছে শতগুন। পূর্বের ২টি বন্যায় রাস্তার পাকাসহ সোল্ডার ভেঙ্গে রাস্তাটি শরু হয়ে পড়েছে ও বর্তমানে ঘনঘন বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে গর্ত ফলশ্রæতিতে গর্তে পরে গাড়ী উল্টে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে দূর্ঘটনা। এ রাস্তার কবরস্থান সংলগ্ন ৩৫-৪০ বৎসরের পুরাতন ব্রীজটিও ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। কামেল মাদ্রাসা সংলগ্ন ২০০ ফিট রাস্তা বিগত ২ বন্যায় ধসে গেছে। ফলে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। ফলশ্রতিতে হাট-বাজার,স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও কবর স্থানের মৃত ব্যাক্তির মরদেহ পরিবহন অসম্ভব হয়ে পরছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা জানান, শহরের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। দীর্ঘদিন এ রাস্তা ও ব্রীজ টি নষ্ট থাকায় প্রতিনিয়ত অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছি। মাঝে মাঝেই গাড়ী উল্টে দূর্ঘনা ঘটছে। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা জনতা ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি উপজেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সুজায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন- এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমরা এলাকাবাসী অনেকদিন থেকেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আসছি। এলাকার হাজার হাজার মানুষের একমাত্র চলাচলের রাস্তা এটি। রাস্তা ও ব্রীজটি সংস্কারের অভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি এলজিডির কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করিয়েছি, তাতেও কোন লাভ হয়নি। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারনেই আমাদের এ দুর্ভোগ।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ব্রীজ কালভার্ট মেরামত প্রোগ্রামের অন্তরভুক্ত করবেন।