আপডেট: জুন ৩, ২০২০
আবু বকর সিদ্দিক বাবু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) থেকে : উল্লাপাড়ায় ফুলজোড় নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন। গত তিন সপ্তাহে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতবাড়ী ও পূর্বসাতবাড়ীয়া গ্রামের অন্ততঃ ৫টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হয়ে গেছে ফসলী জমি। ইতোপূর্বে একই স্থানে ভাঙ্গনে অন্ততঃ ১২ বিঘা ফসলী জমি নদীতে চলে গেছে। সেই সাথে বাড়ি ভেঙ্গেছে অন্ততঃ ১৫টি। প্রতিবছর বর্ষার শুরুতে নদীর পানি বাড়ার সময় এবং কমার সময় এখানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। এবছর বর্ষা মৌসুম না আসতেই শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। ইতোমধ্যে গ্রাম থেকে পৌরশহরে আসার একমাত্র রাস্তাটিও নদীতে ভেঙ্গে পড়েছে। বেতবাড়ী পূর্বসাতবাড়ীয়া খেয়া ঘাটটি বার বার নদী ভাঙ্গনের ফলে বিভিন্ন জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে স্থানীয় লোকজনের পারাপারে পোহাতে হচ্ছে চরম দুভোর্গ। নদীপাড়ারের বাসিন্দারা এখন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছেন।
পূর্ব সাতবাড়ীয়া গ্রামের নদী ভাঙ্গনের শিকার সাকোয়াত হোসেন, শাহাদ হোসেন, জামাল হোসেন, আবু তাহের ও শফিকুল ইসলাম জানান, গেল বছর নদীতে তাদের বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। তারা একটু দুরে নতুন করে ঘর তুলেছিলেন। এবছর সে অংশটুকু নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়া গত ৫ বছরে বেতবাড়ী গ্রামের ছারোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, আশরাফুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকটি পরিবারের অন্ততঃ ১২ বিঘা ফসলী জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হয়েছে অনেক ফলের বাগান। ফলে এসব পরিবার চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তারা অভিযোগ করেন, বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে কয়েকদফা জানালেও পরিষদ থেকে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে নদী ভাঙ্গন বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ নদী ভাঙ্গনের কথা স্বীকার করে জানান, নদী ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা নিলে বিপুল পরিমান অর্থের প্রয়োজন। ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে সে অর্থের সংস্থান নেই। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, দ্রুত এ ব্যাপারে তদন্ত করে নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।