আপডেট: মে ২০, ২০২০
অমর চাঁদ গুপ্ত, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে : দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সজনী বেগম (৪০) নামে এক মহিলা রোগী আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার ভোরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুমের পানির ঝরনার পাইপের সাথে ওড়না পেচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। বুধবার তার করোনা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
তিনি কুষ্টিয়ার মাঝপাড়া এলাকার আব্বাস আলীর স্ত্রী বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেজিষ্টারে উল্লেখ আছে। বর্তমানে তিনি কিছুদিন ধরে হাকিমপুর ডিগ্রী কলেজ এলাকায় একটি বাড়ীতে থাকতেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তৌহিদ আল হাসান জানান, গত ১৮ মে সকালে স্থানিয় ডিগ্রী কলেজ এলাকায় এক মহিলা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জানতে পেরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করা হলে তিনি জানান হারপিক সেবন করে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। সে সময় থেকে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল বুধবার ভোরে জানতে পারি তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুমে ঢুকে আত্মহত্যা করেছেন। এব্যাপারে থানায় পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে। বেলা ১২টার দিকে পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ নিয়ে গেছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি সুত্র জানান, ওই রোগীর মধ্যে করোনার উপসর্গ লক্ষ্য করা গেছে। তিনি ঢাকায় থাকতেন। বুধবার তার করোনার স্যাম্পল নেওয়ার কথা ছিল।
হাকিমপুর থানার পুলিশ জানান, সজনী বেগম কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা তদন্ত করা হবে। এর আগেও গত ১৮ মে একবার হারপিক সেবন করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার লাশ দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, গত ১৮ মে সকাল ১১টায় জানতে পারি একজন মহিলা হাকিমপুর ডিগ্রী কলেজের বারান্দায় শুয়ে আছে। পরে সেখানে দেখি মেয়েটি অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিল এবং তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। এসময় আমি তাকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। গতকাল শুনলাম গলায় ফাঁস দিয়ে ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছে।