বতগুনায় আলোচিত রিফাত হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি তানভির এবং ওলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার, বিকেলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রিফাত হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত অপর তিন আসামি সায়মন, সাগর ও নাজমুলের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, রিফাত হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন, মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন, ৯ নম্বর আসামি মোহাম্মদ হাসান ওরফে মেহেদি হাসান, ১০ নম্বর আসামি চন্দন ওলি, ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে নাজমুল, সাইমন, সাগর ও শ্রাবণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে, প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী সাগরকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। রাজধানী থেকে সাগর নামে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। হত্যার ঘটনায় আলোচিত ফেসবুক গ্রুপ জিরো জিরো সেভেনের অন্যতম সদস্য সাগর।
প্রসঙ্গত, গত ২৬শে জুন স্ত্রী আয়েশাকে বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। তারা রিফাতকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় রিফাতের বাবা ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এ পর্যন্ত ৯জন গ্রেপ্তার হলেও মূল তিন আসামি নয়ন, রিফাত ও রিশানকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।