আপডেট: মে ৬, ২০২০
সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া থেকে: কুষ্টিয়া কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের মালিথা পাড়ায় এলাকা থেকে ছাত্রীর আম গাছে ও সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের গজনরীপুর গ্রাম থেকে মহিষ ব্যবসায়ীর বাঁশে ঝুলে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কয়া মালিথাপাড়া এলাকার জসিম মালিথার ছেলে লিমন মালিথার সাথে জিয়ারুল ওরফে জিয়ার মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া জয়ার প্রেমজ সম্পর্ক চলে আসছিলো। হটাৎ করে জয়ার গাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা বা হত্যার বিষয়টি চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। লাশের পাশেই জয়ার ব্যবহৃত পোষাকের ব্যাগ পাওয়া যাওয়ায় এতে বিভ্রান্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
মেয়ের বাবা জিয়ারুল জানায়, তার মেয়ে জয়ার সাথে লিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো এটা তারা জানেন। গতকাল গভীর রাতে তার মেয়েকে লিমন ডেকে নিয়ে গিয়ে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, রাত ১ টার দিকে মেয়েকে ঘরে দেখতে না পেয়ে লিমনের বাড়িতে খুঁজতে গিয়ে লিমনকে বাড়িতে দেখতে পান। তার মেয়ে কোথায় জিজ্ঞেস করলে তারা জানেনা বলে জানায়।
পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজি করে জয়াকে না পেয়ে ভোর রাতে তার বাড়ির পিছনে আম গাছের সাথে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তিনি দাবী করেন, লিমন তাঁর মেয়েকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
অপরদিকে ছেলের বাবা জসিম মালিথা জানায়, জয়ার সাথে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ৭/৮ মাস পূর্বে জানতে পেরে সে মেয়ের বাবা জসিমের নিকট বিয়ের প্রস্তাব দেয়। জয়া সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বর্তমানে লেখাপড়া বাদ দিয়েছে কিন্তু তার বয়স (১৬) বছর হওয়ায় কিছুদিন অপেক্ষা করে ছেলে মেয়ের বিয়ে দেবার কথা বললে জিয়ার বিয়ে দিতে অসম্মতি জানায়। আজ গভীর রাতে মেয়ের বাবা সহ কয়েকজন আমার বাড়িতে তার মেয়েকে ও লিমনকে খুঁজতে আসে সে সময় লিমন তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো।
তিনি বলেন, বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ার কারনেই তার মেয়ে আত্নহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমানের নিকট হত্যা না আত্মহত্যা জিজ্ঞেস করলে জানান, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
অপরদিকে, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের গজনবীপুর গ্রামের মৃত যাত্রা মন্ডলের ছেলে মহিষ ব্যবসায়ী সামিম (৩৬) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ইবি থানা পুলিশ।
ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আরিফ জানান, গজনবীপুর গ্রামে বাজারে একটি লাশ ঝুলছে এমন খবরে আমরা সেখানে যায় এবং লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট আসার পরে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।