আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২০
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসে মারা গেছে সন্দেহে এক বৃদ্ধা মহিলার লাশ মধ্য রাত পর্যন্ত ফার্মেসির সামনে পড়ে থাকার পর বুধবার তার দাফন-কাফনে কবরস্থ করা হয়েছে। বাসার কাছে ওষুদের দোকানে বৃদ্ধ মহিলাটি ওষুধ কিনতে এসে মাথা ঘুরে পড়ে মারা যাবার পর এমন অবস্থা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে টঙ্গী আউচপাড়া মোল্লাবাড়ি রোড এলাকায়। এলাকাবাসী জানান, বৃদ্ধ মহিলার নাম মিনারা বেগম (৬৫)। তিনি ওই এলাকায় ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ব্লাড প্রেসার সহ নানা রোগে ভুগছিলেন। বাসায় কেউ না থাকায় তিনি প্রেসার মাপাতে এবং ওষুধ কিনতে দোকানে আসেন।
এ সময় ফার্মাসিতে ঢোকার আগেই দরজার সামনে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তার মুখ থেকে ফেনা বের হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। করোনা ভাাইরাসে মানুষ মারা গেছে এমন খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। লাশ রাস্তায় ফেলেই চলে যান সবাই। গাজীীপু সিটিকর্পোরেশন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির উদ্দীন মোল্লা ও বিল্লাল মোল্লা ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন। তাঁরা বিষয়টি গাজীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়কে জানান। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একটি দল এসে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। বুধবার সকালে প্রশাসনের সম্মতিক্রমে লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
গাজীপুর সিটির ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসিরউদ্দিন মোল্লা জানান, করোনা সময়ে এমনভাবে কেউ মারা গেলে স্বাভাবিকভাবেই সবার মাঝে আতঙ্ক কাজ করে। এখানেও তাই হয়েছে। তারপরও মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা সার্বক্ষণিক লাশের তদারকি করেছি। রাতের মাঝেই খবর দিয়ে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছি। সবার সম্মতিক্রমে লাশ দাফন কাফনও করা হয়েছে। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসিএমদাদুল হক বলেন, এলাকাবাসী ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে থেকে ওই নারীর করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিল না। মূলত প্রেসার মাপতে এসে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে এ ঘটনা ঘটে।
তারপরও এটা নিয়ে যেহেতু মানুষের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তাই লাশটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নারী এখানে একা থাকতেন। স্বামী নেই। এক ছেলে আছেন, তিনি যশোরে থাকেন। এ সময় পরিবারের কোনো লোকজন না আসায় এলাকাবাসী নিজেদের তদারকিতে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করছেন।