১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

 

আমি বিশ্ববিদ্যালয় খুলছি বলেই তোর চান্স হইছে

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন

 

নেক্সট নিউজ ডেস্ক: নানা কারণে আবারও গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। অতি সম্প্রতি আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেইলি সানের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ফাতেমা তুজ জেবিন জিনিয়াকে বহিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে আবারও আলোচনায় আসে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। ভিসি-জিনিয়ার কথোপকথনে আছে, আমি খুলছি বলে তোর চান্স হইছে। এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ভিসির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন বলেন, সুনির্দিষ্ট কারণেই জিনিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে কারণ দর্শানো নোটিসও দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে ভিসি বলেন, ফাতেমা তুজ জেবিন জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট হ্যাক করে পরীক্ষা বানচালের চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাছাড়া ওই শিক্ষার্থী অনবরত তার ফেসবুকে শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন মন্তব্য করে আসছিল। আমারসহ অন্য শিক্ষকদেও ফেসবুক আইডি হ্যাক করেছে ওই শিক্ষার্থী। এসব কারণেই তাকে সাময়িক বরখাস্তের নোটিস দেওয়া হয়। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো সাংবাদিককে সাময়িক বরখাস্ত করেননি। তারা একজন দোষী শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্তের নোটিস দিয়েছেন। আর এ নিয়ে ওই শিক্ষার্থী আমার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণœ করতে একের পর এক মিথ্যাচার করে চলেছে। তিনি সারা দেশের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে বলেন, এখানে কোনো সেশনজট নেই। দেশের সেরা শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাড়ে ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে অল্প কিছু শিক্ষার্থী যদি বিপথে যায় বা অন্যায় করে তাদের শাসন করার অধিকার অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আছে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোই দায় হয়ে যাবে। তবে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলেও সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিয়ে তাদের আবারও শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

ডেইলি নেক্সট নিউজ/ফয়সাল।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network