কাশ্মীর কি যুদ্ধক্ষেত্র? না হলে ভারতের প্রশাসন কাশ্মীরে শান্তি ফিরছে বলেও কেন কয়েকদিনের ব্যবধানে বিপুল সেনা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র? কেন হঠাৎ করে অমরনাথ যাত্রা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে? এখন এই প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে ভারতের রাজনীতির অন্দরে।
গত ২৪ জুলাই রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জে কৃষণ রেড্ডি বলেছিলেন, কাশ্মীরের সীমা লঙ্ঘনের পরিমাণ কমেছে ৪০ শতাংশ। স্থানীয়দের জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার পরিমাণ কমেছে ৪০ শতাংশ। জঙ্গি হামলা কমেছে ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতের সেনা দলের কার্যকলাপ বেড়েছে ৫৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে কাশ্মীরের অবস্থা এখন আগের থেকে অনেক শান্ত। স্বাভাবিকভাবেই এরপর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন এখনও এত সেনা পাঠাতে হচ্ছে কাশ্মীরে? কেন হঠাৎ করে নির্দেশ দিয়ে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা?
শুক্রবার দুপুরের পরেই একটি নির্দেশ জারি করা হয় অমরনাথ যাত্রীদের উদ্দেশ্যে। সেখানে বলা হয়, আপাতত অমরনাথ যাত্রা বন্ধ থাকছে। দ্রুত সকল যাত্রীকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে হামলার খবর পাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
অমরনাথ যাত্রায় হামলা চালাতে পারে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী ও গুপ্তচর সংস্থা। সেই বিষয়ে সূত্র মারফত খবর পেয়েই তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। সেখানে ল্যান্ডমাইনগুলি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিতে রয়েছে পাকিস্তানের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির চিহ্ন। ফলে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হয়েছে সেনা। এরপরেও একাধিক অঞ্চলে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হচ্ছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। মনে করা হচ্ছে, আরও কিছু লুকানো জায়গায় বিস্ফোরক বা অস্ত্র মজুত থাকতে পারে।
ভারত সরকার তো একের পর এক সেনা দল কাশ্মীরে পাঠিয়েই যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ হাজার সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অমিত শাহের দপ্তর। তার কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই ফের আরও ২০ হাজার সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মোট ৩৮ হাজার সেনা পাঠানো হয় কাশ্মীরে।
সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে গোয়েন্দাদের এমন তথ্যের ভিত্তিতে কাশ্মীরের অমরনাথ থেকে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের প্রশাসন।