নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর রাজধানীর বাজারে কয়েকটি কোম্পানির পাস্তুরিত তরল দুধের সরবরাহ থাকলেও, এখনো ক্রেতাদের আস্থা ফেরেনি। দুধের মান নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তারা। বিক্রেতারা বলছন, বিক্রির পরিমাণ অনেক কম। আর সুপার শপগুলোতে তরল দুধের চেয়ে পাউডার দুধের বিক্রি বেড়েছে। তরল দুধের উৎপাদন ও সরবরাহ মিলিয়ে বাজার পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে মনে করছে কোম্পানিগুলো।
১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত তরল দুধ বিক্রিতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হওয়ার কয়েকদিন পরও, এখনো সব কোম্পানির দুধের সরবরাহ শুরু হয়নি। রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় এই চিত্র দেখা গেছে। বেশিরভাগ দোকানেই মিলছে দুটি বা তিনটি কোম্পানির তরল দুধ।
নিষেধাজ্ঞা কেটে গেলেও দুধের মানের বিষয়ে এখনো আস্থা রাখতে পারছেন না ক্রেতারা। মান নিয়ে সন্দিহান থাকায় অনেকেই পাস্তুরিত তরল দুধ আর কিনছেন না।
এদিকে সুপারশপগুলোতেও পাস্তুরিত দুধের বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে পরিমাণে কম। চাহিদা বেড়েছে পাউডার দুধের।
উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু হলেও, বাজার ব্যবস্থা পুরোদমে আগের অবস্থায় ফিরতে আরো দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে বলছে কোম্পানিগুলো। পাস্তুরিত তরল দুধের বিষয়ে ক্রেতা আস্থা ফেরাতে নিজস্ব উদ্যোগে, বিদেশ থেকে পরীক্ষা করার কথাও জানিয়েছে কোম্পানিগুলো।