আপডেট: জুলাই ২, ২০২৫
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক,কালিহাতী( টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এক হিন্দু পরিবারের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।জনৈক বিএনপি নেতার ভাই দলীয় প্রভাব দেখিয়ে বাধা প্রদান করেছে বলে অভিযোগকারী মানিক দেবনাথ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মানিক দেবনাথ দেয়াল নির্মাণে বাধা ও হূমকীদাতা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কালিহাতী থানা সাধারণ ডায়রি করেছেন।জিডি নম্বর ১৫৫৮, তারিখ -৩০ জুন।
জানাযায়,কালিহাতী পৌরসভার কুষ্টিয়া মৌজার ৫২০ খতিয়ানের ,১০৯ নম্বর দাগের ৪০ শতাংশ জমি ২০১৯ সালে ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত ক্ষিতিশ দেবনাথের পুত্র মানিক দেবনাথ। অতিসম্প্রতি মানিক দেবনাথ তার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেন ঐ সম্পত্তি বিক্রেতা কালিহাতী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলীর চাচাতো ভাই মোঃ নজরুল ইসলাম পুর্নালী (৫২) ।
মানিক দেবনাথ জানান,আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে আমি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গিয়ে বাঁধা প্রাপ্ত ও হুমকির শিকার হয়েছি। ঐ সম্পত্তি যার কাছ থেকে ক্রয় করেছি তারই দ্বারা। নজরুল প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য ।তার ভাই সাবেক কাউন্সিলর। আমি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের নিরীহ লোক । আমি দূর্বল তাই তারা অন্যায়ভাবে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির দিকে লালসার দৃষ্টি ফেলে আমাকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা, টেলিফোনসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। নজরুল ও তার লোকজন আমার জীবনমানের যে কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে শংকিত হয়ে গত ৩০ জুন কালিহাতী থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছি।
এবিষয়ে,অভিযুক্ত নজরুল মুঠোফোনে আমাদের প্রতিবেদককে বলেন,” ঐ জমি আমিই মানিকের কাছে বিক্রি করেছিলাম। মানিক ঐ সম্পত্তি পুনরায় বিক্রি করার কথা জানালে আমি তার কাছ থেকে উক্ত জমি কিনে নেওয়ার কথা হয় এবং কিছু টাকা বায়না দেই। সম্প্রতি আমাকে না জানিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা দেই এবং টেলিফোনে তারসাথে বাগবিতন্ডা হয়।” লিখিত বায়না বা টাকা প্রদানের কোন প্রমানাদি আছে কিনা জানতে চাইলে কোন প্রমাণপত্র নাই বলেও জানান।
এবিষয়ে কালিহাতী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের চাচাত ভাই বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী বলেন,” মানিকের সাথে আমার ভাই নজরুলের কোন বিরোধ নাই,মানিক উক্ত জমি বিক্রি করার জন্য নজরুলের সাথে কথা হয়েছে,আমরা বায়না দিতে চাইলে মানিক বায়না না নিয়ে একসাথে সমুদয় টাকা চায়,এতগুলো টাকা একসাথে দিতে না পারায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।টাকা পরিশোধ করলেই মানিক জমি কবলা করে দিবে।”
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান বলেন,” অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে, আশা করছি খুব শীঘ্রই নিস্পত্তি হবে।”