আপডেট: জুলাই ২০, ২০১৯
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল :
বন্যার পানিতে গৃহবন্দি মানুষ ক্ষোভে টাঙ্গাইলের-ভূঞাপুর সড়কের শ্যামপুর ব্রীজের নিম্নমানের ডাইভারশন শনিবার দুপুরে কেটে দিয়েছেন। ফলে এই সড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। উত্তেজিত জনতা বেইলী ব্রীজ নির্মাণ ও ঠিকাদারদের শাস্তির দাবীতে প্রতিবাদ করেন। পরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা যায়, এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কের ব্রীজ নির্মাণ ও রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ফলে প্রতিটি ব্রীজ ভেঙ্গে যান চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে ডাইভারশন। নিম্নমানের সামগ্রি ও আবর্জনা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ডাইভারশন তৈরির করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। শ্যামপুর ও ফুলতলা ডাইভারশন দিয়ে পানি প্রবাহে বাঁধাপ্রাপ্ত হওয়ায় পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গ্রামগুলো হচ্ছে কালিহাতী উপজেলার ফুলতলা, রৌহা, ভাঙ্গাবাড়ি, চরভাবলা, হাকিমপুর, ভাবলা, মিরপুর, শেরপুর, দেওলাবাড়ি ও রাজাবাড়ি একাংশ। এতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ী ও গ্রামীণ রাস্তাঘাট।
পানিবন্দি মানুষ উত্তেজিত হয়ে ডাইভারশনের বাঁধ কেটে দেওয়ায় পশ্চিমাঞ্চলের পানি পূর্ব দিকে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল থেকে ভুঞাপুর সড়কের সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এদিকে পানিবন্দি মানুষ জানান, ঠিকাদারদের দূর্নীতি ও সড়ক কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই এই নিম্নমানের ডাইভারশন করা হয়েছে। আর বন্যায় ভোগান্তি পোহাচ্ছি আমরা। ঠিকাদারদের শাস্তি দাবী করেছেন তারা।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) শাহরিয়ার রহমান বলেন, স্থানীয়রা শ্যাম ব্রীজের ডাইভারশন অন্যায়ভাবে কেটে দিয়েছেন। এখানে বিকল্প ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল এহসান সাংবাদিকদের বলেছেন, “শ্যামপুর ও ফুলতলা ডাইভারশন ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এই মুহুর্তে আমার করার কিছুই নেই।”