টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী লুৎফর রহমান মতিন মহিলা কলেজে ২০ জুলাই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজেটির অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে কলেজের সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মোল্লা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, টাঙ্গাইলে নারী শিক্ষার বিকাশে কলেজটির প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিবছর এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঈর্ষনীয় ফলাফল করে আসছে। চলতি বছর ২০১৯ সালে ৯৮.৯৬ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়ে জেলায় সর্বোচ্চ ফলাফল করেছে।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে কলেজটিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা কাজী জাকেরুল মাওলা ঝুন্নুন শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে বক্তব্য রাখেন। কাজী জাকেরুল মাওলা বলেন, ” নারীরা সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নারী, শিক্ষামন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রীও নারী। তাই তোমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। তোমরা অনেক বড় হও। ” তিনি ভাল ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।
জ্বনাব মৌওলা উপস্থিত বিভিন্ন ইলেকইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি জিপএ-৫ প্রাপ্তদের মিষ্টি খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে আশির্বাদ করেন।এ সময় কলেজটির অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য গোলাম মোহাম্মদ, তালেমন-হযরত আলী মৎস্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা, দি নেক্সটনিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন তুহিন, একুশে টিভির তাজউদ্দিন রিপন,যায়যায়দিনের মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল, নয়াদিগন্তের মালেক আদনান, কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য লেবু মিয়া সহ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব ও স্থানীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কলেজটির ইংরেজি প্রভাষক ও দৈনিক ইত্তেফাকের কালিহাতকালিহাতী উপজেলা প্রতি কাশীনাথ মজুমদার পিংকূ। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লুৎফর রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের ৮২ জন,ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৩৮ জনের সবাই কৃতকার্য,মানবিক বিভাগের ২৬৬ জনের মধ্যে ২৬২ জন কৃতকার্য এবং চারজন অনুপস্থিত। পাশের হার শতকরা ৯৮.৯৬ ভাগ।টাঙ্গাইল জেলার মহিলা কলেজগুলোর মধ্যে লুৎফর রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজ ফলাফলে শীর্ষে রয়েছে।
এতো ভালো ফলাফলের পরও কলেজটিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবন, ছাত্রী হোস্টেল, সীমানা প্রাচীর ও কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের দাবী সম্বলিত ব্যানার নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে সমবেত হয়।