আপডেট: জুলাই ৩১, ২০২১
মনির হোসেন, টাঙ্গাইল : লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণায় রোববার (১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলছে। এ কারণে শনিবার দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরছেন। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যে রাজধানীতে ফেরা মানুষকে পোহাতে হচ্ছে নানা ভোগান্তি। সেইসঙ্গে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
এদিকে শ্রমজীবী মানুষজন খোলা ট্রাক, বাস, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল যোগে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ফলে কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এছাড়া বৃষ্টিতে ভিজে খোলা ট্রাক ও সোটরসাইকেলে চলাচল চরম ভোগান্তিতে পড়ছে হচ্ছে তাদের।
শনিবার দিনব্যাপী ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের চাপ পড়েছে।
মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, টাঙ্গাইল বাইপাস, রাবনা বাইপাস, মির্জাপুর অংশে যাত্রীদের ব্যাপক ভীড় রয়েছে। এসময় পরিবহন না পেয়ে অনেককে আবার পায়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
কঠোর বিধিনিষেধে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেঙে ভেঙে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ভিড় করছে ঢাকামুখী যাত্রীরা।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটছে কর্মজীবী নিন্ম আয়ের মানুষেরা। এতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষমান একাধিক যাত্রী বলেন ছুটি নিয়ে ঈদে বাড়িতে আসছিলাম। পরিবহন খুলে না দিয়ে কিভাবে পোশাক কারখানা চালু করলো। কিভাবে কর্মস্থলে ফিরবে। কিছু যানবাহন পাওয়া যায় তাতেও তিনগুন ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। সরকার যাই বলুক নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগদান করতে না পারলে চাকরি থাকবে না।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাতের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেন নাই।