আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২১
মনির হোসেন,টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পারিবারিক দ্বন্দে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে আনেহলা ইউনিয়নের ডাবনাপোটল গ্রামের সাবেক খাদ্য কর্মকর্তা শাহজাহান চৌধুরীর পরিবার।
পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও শাহজাহান চৌধুরীর দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।
জানা যায়, ডাবনাপোটল গ্রামের সাবেক খাদ্য কর্মকর্তা শাহজাহান চৌধুরীর প্রথম পক্ষের সন্তানদের সাথে বৃহস্পতিবার(২৯ জুলাই) বিকেলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিবাদের সৃষ্টি হয় চাচাতো ভাই বকুল চৌধুরীর সাথে। বসতবাড়ির চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন তিনি।
এছাড়া ওই ঘটনায় তার দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানদের মারধরও করা হয়েছে। পরে গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এ ফোন করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলাচলের রাস্তা খুলে দেন।
বিষয়টির সমাধানে ওইদিন রাতে তার চাচাতো ভাইয়েরা প্রথম পক্ষের সন্তানদের সাথে মিলে শাহজাহান চৌধুরীর দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানদের মারপিট করে। প্রথম পক্ষের সন্তানরা পুনরায় হামলার চেষ্টা করলে দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানরা জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশের উপস্থিতিতে বাঁশের বেড়া খুলে চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শাহজাহান চৌধুরীর দ্বিতীয় পক্ষের পরিবার রয়েছে আতঙ্কে।
শাহজাহান চৌধুরীর দ্বিতীয় পক্ষের মেয়ে শাহনাজ আক্তার জানান, তাদের বসতবাড়ির জায়গা প্রথম পক্ষের ভাইয়েরা দাবি করছিল। দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তারা বার বার হামলা করার চেষ্টা করেছে। এমনকি তার ভাইকে মারধর করা হয়েছে। তিনি সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
শাহজাহান চৌধুরীর প্রথম পক্ষের ছেলে শাকিল চৌধুরী জানান, তারা কোন হামলা করেন নাই। ছোটভাই হিসেবে কামরুল চৌধুরীকে শাসন করেছেন।
শাহজাহান চৌধুরীর জামাতা আব্দুর রহমান জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু নেই। উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
শাহজাহান চৌধুরী জানান, প্রথম পক্ষের সন্তানদের সাথে বকুল চৌধুরীর ঝগড়া হয়। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। ওই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় পক্ষের বড় ছেলে কামরুল চৌধুরীকে প্রথম পক্ষের মেয়ের জামাই আব্দুর রহমানের সহযোগিতায় প্রথম পক্ষের ছেলে শামীম চৌধুরী, সাজু চৌধুরী ও সাকিল চৌধুরী বেধরক মারধর করে।