আপডেট: মে ২৩, ২০২১
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে নতুন আতঙ্কের নাম কালো ছত্রাক বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। করোনায় নাজেহাল ভারতে ব্যাপকহারে দেখা দিয়েছে এই রোগ। এই রোগ যেন বাংলাদেশে না আসতে পারে তা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্কতা জারি করেছে।
রোববার দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাজমুল ইসলাম বলেন, কালো ছত্রাকের বিষয়ে করোনা প্রতিরোধে গঠিত কারিগরি পরামর্শক কমিটিকে বলা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছেন। তারা একটি পরামর্শ চূড়ান্ত করবেন। এ নিয়ে আমরা কথা বলেছি নিজেদের মধ্যে। এরই মধ্যে আমরা সারা দেশে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছি।
‘আনুষ্ঠানিকভাবে কালো ছত্রাকের চিকিৎসাব্যবস্থা কেমন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো হবে।’
করোনা মহামারির মধ্যে ভারতের মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তেলেঙ্গানায় কালো ছত্রাকের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে কয়েক শ মানুষের। সাধারণত করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কিছু রোগীকে এই ছত্রাকে সংক্রমিত হতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা থেকে একে ছয় রাজ্যে মহামারি ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্র সরকার।
করোনা রোগীদের মধ্যে এমন সংক্রমণের প্রবণতা বেশি দেখা দেয়ায় তাদের চিকিৎসায় স্টেরয়েডের ব্যবহার কমিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস।
নাকে কালো ছোপ, চোখে ঝাপসা দেখা, নাক বন্ধ, সর্দি এই ছত্রাকে সংক্রমিত হওয়ার লক্ষণ। আবার নাক দিয়ে কালচে কফ বের হওয়া, নাকের ভেতরের অংশ কালো হয়ে যাওয়া, মুখ ও গালে ব্যথা থাকতে পারে। সংক্রমণ বেশি ছড়ালে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে।
টিকা সংকটের কারণে অন্য কোম্পানির টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এখন তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা টিকা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করব। তবে টিকার উৎস নিশ্চিত না হলে এ বিষয়ে গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভারতের ভ্যারিয়েন্ট কতজনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিদিনই শনাক্তের কাজ চলছে। ভারতের ভ্যারিয়েন্ট অন্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে বেশি শক্তিশীল।