আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২০
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে যৌতুকের জন্য তাছলিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে যমুনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার মামলায় স্বামী ও শ্বশুরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন এই দণ্ডাদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামের স্বামী জহুরুল ইসলাম (২৯) ও শ্বশুর মো: মজনু (৫৯)। তারা পলাতক রয়েছেন।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি একেএম নাছিমুল আক্তার নাছিম নয়া দিগন্তকে বলেন, স্বামী জহুরুল ইসলাম যৌতুকের জন্য বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী তাছলিমাকে (২১) নির্যাতন করতেন। তাছলিমা একই উপজেলার কুঠি বয়ড়া গ্রামের তছলিম উদ্দিনের মেয়ে। ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর সকালে জহুরুল ইসলাম ফোন করে শাশুড়ি রাবেয়া বেগমকে জানান, তাছলিমাকে পাওয়া যাচ্ছে না, তিন দিন আগে তিনি যেনো কোথায় চলে গেছেন।
পরদিন ২৯ নভেম্বর বিকেলে ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী বাজারের পশ্চিম পাশে যমুনা নদীতে একটি নারীর লাশ ভেসে যেতে দেখে স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে ছবি তুলে ও ভিডিও করে রাখেন। খবর পেয়ে তছলিম উদ্দিন সেখানে গিয়ে মোবাইল ফোনের ছবি ও ভিডিও দেখে লাশটি তার মেয়ের বলে শনাক্ত করেন। তবে তাছলিমার লাশটি আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তছলিম উদ্দিন ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর মেয়ের স্বামী জহুরুল ইসলাম ও শ্বশুর মজনুসহ তিনজনকে আসামি করে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন। পরে জহুরুল ও মজনু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
জবানবন্দীতে তারা জানান, পিতার কাছ থেকে দেড়লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে অস্বীকার করায় তাছলিমাকে বাড়ির কাছে যমুনা নদীতে চুবিয়ে হত্যার পর লাশ ভাসিয়ে দেন। অন্যদিকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত না থাকায় গোলাপ নবী নামে (৫৯) অপর আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।