আপডেট: জুলাই ১২, ২০২০
পলাশ হাওলাদার,বাকেরগঞ্জ থেকে :বাকেরগঞ্জে দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে অজ্ঞাত লাশের মিছিল। আর খুনীরা জঘন্য অপরাধ করেও থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করা হয়,,পরে লাশের পরিচয় মিলেছে। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব, ব্যবসায়ীক বিরোধসহ বিভিন্ন দ্বন্দ্বের জের ধরে অপহরণের পর খুন করা হচ্ছে মানুষকে। এসব মানুষকে হত্যার পর ঘাতকরা লাশ ফেলার জন্য বেছে নিচ্ছে নির্জন স্থান। আর সেসব লাশে আঘাতের ধরন এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মিলিয়ে শতকরা ৮০ ভাগই হত্যাকান্ড বলে প্রতীয়মান হয়। উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মতে, পুলিশের যথাযথ পদক্ষেপ না থাকার কারণে একের পর এক হত্যা কান্ড ঘটছে।বাস্তব পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকে।
কিন্তু থানা পুলিশের কাজ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। অনেক সময় জায়গা জমি বিরোধের অভিযোগ থানায় দিলেও আইনি জটিলতার কারণে সুষ্ঠু সমাধান দেয়া যায় না।অনেকের কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলেও জমি জায়গা দখল করতে গেলে হামলার শিকার হয়। আর সেই হামলার মাধ্যমে হচ্ছে হত্যাকাণ্ড। জমি জায়গার সঠিক কাগজপত্র বিবেচনা করে পুলিশ যদি জায়গা দখল করতে সহযোগিতা করে তাহলে হবে না, এসব অপ্রীতিকর হত্যাকাণ্ড। এটাই ধারণা সচেতন মহলের।
তেমনি পূর্বের ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নেয় আজ ১২(জুলাই)সকালে বাকেরগঞ্জ ভরপাশা ইউনিয়ন এলাকার আতাকাঠি গ্রামের মোঃ বাবুল হাওলাদারের পুত্র মোঃ ইমরান(২৫) বয়সী এ তরুনের লাশ রাস্তার পাশে পথচারীরা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে তা ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে। হতভাগা ওই তরুনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে খুনিরা। কিন্তু এভাবেই বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে লাশ মিলছে খালে, বিলে, নদী, মহাসড়কের পাশে। উল্লেখ্য গত সপ্তাহ খানেক আগেও পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার পিতা-পুত্র মাছ ধরার চাই বিক্রি করতে এসে বাকেরগঞ্জে খুন হয়।
আইনি প্রক্রিয়ায় সাধারণত লাশ উদ্ধারের পর যথারীতি থানায় মামলা হয়। তবে মামলা করেই ক্ষান্ত পুলিশ। এরপর আর তদন্ত এগোয় না। ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে অপরাধীরা। এসব ঘটনায় থানায় মামলার পর পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অদূর ভবিষ্যতে নিহত ব্যক্তির হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা হলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হবে। কিন্তু মামলা পুনরুজ্জীবিত কিংবা কোন ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয় না। আবার পূর্ব শত্রুতা কিংবা অপহরণের পরেও অনেককে হত্যার পর লাশ ফেলে দেয়া হয় যেখানে সেখানে।