আপডেট: জুলাই ১২, ২০২০
ফিরোজ সুলতান, ঠাকুরগাঁও থেকে : শুক্রবার(১০ জুলাই)সকালে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার নন্দগাঁও গ্রামে র্যাব-১৩ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী -১ দিনাজপুর এর অধিনস্ত লেফটেন্যান্ট আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসপি সামুয়েল সাংমার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ভেজাল ঔষধ প্রস্তুুত এবং মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অভিযোগে হাকিম মোঃ আব্দুল হাই (৫০) নামে এক ভূয়া চিকিৎসককে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ভূয়া চিকিৎসকসহ আটকৃত ভেজাল ও মেয়ার্দ উত্তীর্ণ ঔষধ জনসন্মুখে ধ্বংস করা হয়। র্যাব -১৩ এর ক্রাইম প্রিভেনশনের এএসপি সামুয়েল সাংমা জানান, হাকিম মোঃ আব্দুল হাই নিজেকে চিকিৎসক দাবি করে দির্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় ভেজাল ঔষধ প্রস্তুুত করে তা জনসাধারণের কাছে বিক্রয় করে আসছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ এর ক্রাইম প্রিভেনশন তার চেম্বারে অভিযান চালিয়ে ভেজাল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ জব্দ করে। সেসময় তিনি চিকিৎসক কিনা তা প্রমাণে তার কাছে সনদ পত্র চাওয়া হলে তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক সনদপত্র ও ড্রাগ লাইসেন্স দেখাতে পারেন নাই। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল-নোমান সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৬ ধারায় ভেজাল এবং মানুষের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর পণ্য আটক করে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধ্বংস এবং একই আইনের ৪১ ধারা অনুযায়ী জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত ঔষধ তৈরি ও মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করার শাস্তি হিসেবে ভূয়া চিকিৎসক হাকিম মোঃ আব্দুল হাইকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।এসময় পরবর্তীতে জনসাধারণের সাথে প্রতারনা না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ভূয়া চিকিৎসক হাকিম মোঃ আব্দুল হাইকে সতর্ক করা হয়।