আপডেট: জুন ২৩, ২০২০
মোঃ নাঈম শাহ্, নীলফামারী থেকে : করোনা আতঙ্কে পুরো জেলার মত সৈয়দপুর উপজেলাও যখন আতঙ্কিত তখন সৈয়দপুরের মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে আগমন ঘটলো এক মানবতার ফেরিওয়ালার।
হ্যাঁ বলছি ডা.আরমান হোসেন রনি’র কথা।৩৯তম বিসিএস এর মাধ্যমে পর্দায়নকৃত এ চিকিৎসকের প্রথম কর্মস্থল নিজ উপজেলা সৈয়দপুরেই।এজন্য হয়ত কাজের প্রতি উদ্দম্যতা একটু বেশিই।শহরের নতুন বাবুপাড়ায় জন্মগ্রহণ করা এই চিকিৎসক বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।তা হলো করোনা প্রতিরোধ।নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মনের নির্দেশক্রমে গঠিত করোনা প্রতিরোধ কমিটিতে তিনি টিম লিডার হিসেবে কাজ করছেন।তাকে সহায়তা করছেন কমিটির অন্য তিনজন সদস্য ;আবু তাহের সিদ্দিকী,আল-আমিন ও মামুনুর রশিদ।
ভবিষ্যৎ চক্ষু চিকিৎসক এই মানুষটি সৈয়দপুরের মানুষজনের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য ছুটে চলছে গ্রাম থেকে শহরে।নিজের শহরে এরকম কঠিন এক দায়িত্বকে কীভাবে দেখেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,”নিজের শহরটিকে নিজের পরিবার আর শহরের মানুষগুলোকে নিজ পরিবারের সদস্য হিসেবে মনে করি।এজন্য তাদের সেবায় আমার আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই”।
চিকিৎসক এ কর্মকর্তার শৈশব,কৈশোর কাটে সৈয়দপুরেই।সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে চক্ষু বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় পাড়ি জমান।তারপর গত ১২ই ডিসেম্বর বিসিএস নিয়োগের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,সৈয়দপুরে মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।গোটা সৈয়দপুর ও সৈয়দপুরের মানুষজন করোনামুক্ত হোক এটাই তার প্রত্যাশা।