২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

 

ওহিদুলের পাকা ঘরের থাকার স্বপ্ন পূরন করে দিল প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: জুন ১৬, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

মোঃ নাঈম শাহ্, নীলফামারী থেকে : দিন আনে দিন খায় নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জের উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের উত্তর কালিকাপুর (শাহপাড়া) গ্রামের ওহিদুল ইসলাম । একসময় বর্ষাকালে তার ঘরের চাল দিয়ে ঝড়ঝড় করে পড়তো বৃষ্টির পানি । যেদিকে পানি পড়তো বালতি ধরে রাখতো ওহিদুলের স্ত্রী গোলেজন বেগমের। কোন একদিন তাদের জীবনে এলো খুশির সংবাদ। খুশিতে আত্নহারা ওহিদুলের পরিবার। শান্তিতে থাকার জায়গা এবার বুঝি হলো ওহিদুলের কপালে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় আধুনিক বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সরকারের দেয়া ঘর পেল ওহিদুল। অভাবের সংসারে ওহিদুলের ৩ ছেলে। বড় ছেলে রিক্সা চালায়, কোন রকমে সংসার চলে। ভাঙ্গা ঘরের জায়গায় উঠলো পাকা ঘর। ঘর পেয়ে খুব খুশি ওহিদুল।

ওহিদুল ইসলাম জানায়, “বর্ষাকাল আসলেই শুরু হত আমাদের কষ্ট। সারাদিন কাজ করে রাতে এসে শান্তিতে ঘুমাতেও পারি না ঘরের চাল দিয়ে পড়ত পানি। আমাদের পাকা ঘরের থাকব এটা ছিল আমাদের স্বপ্ন। আমাদের এই স্বপ্ন যে বাস্তবে রুপ নিবে ভাবি নি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বপ্ন পূরন করে দিল। আমি অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই তাকে।”

এ রকম আরও অনেক অসচ্ছল পরিবারের পাকা ঘরে থাকার স্বপ্ন পুরন হয়েছে।

মাগুড়া ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের নুরনাহার বেগম, স্মামী- মোঃ শফিয়ার রহমান জানান, আমরা দিন আনি দিন খাই। কোন রমকে সংসার চলে আমাদের।এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ঘরে আছি। ঘর পেয়ে আমরা খুবেই খুশি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই ওনি যেন যুগ যুগ বাচিঁ থাকে।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় আধুনিক বাসগৃহ নির্মাণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৩৬ পরিবারকে গৃহ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৮ পরিবারের গৃহ বরাদ্দের কাজ চলছে। প্রতিটি বাসগৃহের প্রাক্কলিত মূল্য ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, গৃহপরিচারিকা, গৃহকর্মী, রিকশা ভ্যানচালকসহ বিভিন্ন অস্বচ্ছল পরিবার পেয়েছে এই দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ গ্রাম পোষ্টকে বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৩৬টি বাসগৃহ নির্মাণ শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। চলতি বছরের আরও ৩৮ টি ঘরের কাজ শেষের দিকে। সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে সুন্দরভাবে কাজ হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করে হতদরিদ্র পরিবারগুলিকে ঘর হস্তান্তর করবো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৩৬ টি পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর দেয়া হয় এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৩৮ টি ঘরের কাজ শেষ করে হস্তান্তর করার অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিটি ঘরে দু’টি কক্ষ, দু’টি বারান্দা, একটি রান্নাঘর, একটি করিডরসহ রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network