আপডেট: জুন ১৪, ২০২০
মো : আজিজুল হক বাবু, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) থেকে :নদীর এ কূল ভাঙ্গে ও কূল গড়ে – এইতো নদীর খেলা। তবে প্রতি বছরই ভাঙ্গছে যমুনা। দিনে রাতে যখন ইচ্ছে তখনই ভাঙ্গছে। যমুনার ভাঙ্গন রোধে নেই কোন দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা। যমুনা পাড়ের মানুষ গুলো প্রকৃতির কাছে নিজেদের জীবন, ধন সম্পদ সমর্পণ করেই বেঁচে থাকে। যদি কখনও যমুনা দয়া করে তবে তারা বেঁচে যায় আর যদি দয়া না করে তবে তার গর্ভে চলে যায় নিজেদের সব কিছু। যমুনা নদী অনেক মানুষকে করেছে পথের ফকির আবার কাউকে কাউকে করছে জমিদার।
যমুনার এমন নিষ্ঠুর খেলায় বিলীন হলো পাইকশা মাইঝাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এ বিদ্যালয়ে আশেপাশের দশ গ্রামের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতো। তাদের প্রিয় সেই স্কুলটি আজ যমুনার গর্ভে হারিয়ে গেলো। অনিশ্চিত হয়ে গেলো অনেক ছোট ছোট স্বপ্ন ।
শিক্ষার্থীদের অভিমানী চোখ তাই বলছে।
বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম সলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দাউদুল ইসলাম দাউদ উপজেলা কর্মকর্তা নদী
ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের বলেন, গতকাল পাইকশা মাইঝাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যমুনা নদীতে ভেঙ্গে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ চিন্তিত। আমরা বিদ্যালয়টি ভেঙ্গে যেতে পারে এমন তথ্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পূর্বেই অবহিত করেছিলাম। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ এলাকা পরিদর্শন করে। তাৎক্ষণিকভাবে বা অল্প সময়ে স্কুলটিকে রক্ষা করা অসম্ভব বলে তারা জানায়।
তবে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেন পড়াশোনায় ক্ষতি না হয় এজন্য আমরা এলাকাবাসীর সাথে বসে সুন্দর একটা জায়গা নির্বাচন করে শীঘ্রই একটি বিদ্যালয় নির্মাণ করার চেষ্টা করবো।
তিনি আরো বলেন, এখন করোনার প্রভাবে স্কুল বন্ধ আছে। আশা করি আবার স্কুল খুলার আগেই হয়তো আমরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য একটি সুব্যবস্থা করতে পারবো। একটি বিদ্যালয় স্থাপন করে দিতে পারবো।