আপডেট: এপ্রিল ১১, ২০২০
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক,ঢাকা: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মারা গেছেন আরো তিনজন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের।
শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক জীবন থমকে দাঁড়িয়েছে। আগামী কয়েকটা দিন কষ্ট করুন। সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক – সংগৃহীত
আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করতে জনগণকে ঘরে থেকে সুস্থ থাকতে অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের পর সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ব্রিফিংয়ে যোগ দিয়ে বিস্তারিত জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বে আক্রান্ত আরো তিনজনকে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া গেছে। তাই এখন মোট সুস্থ ৩৬ জন। সুস্থ হওয়ার তিনজনের মধ্যে দু’জন পুরুষ এবং একজন নারী। তাদের বয়স যথাক্রমে ২৬, ৫৭ ও ৫৫ বছর।
তিনি আরো জানান, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৫৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৪৮ জন ও নারী ১০ জন। এদের মধ্যে ঢাকার ১৪ জন ও নারায়ণগঞ্জের আটজন। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যে তিনজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে দুইজন ঢাকার, বাকি একজন ঢাকার বাইরের।
উল্লেখ্য, অনলাইন বুলেটিন উপস্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। নিজের বাসা থেকে এতে যুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। বিশ্বের প্রায় ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ২ হাজার ৮৪৩ জন। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ৭৭ হাজার ৯০ জন।
বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। করোনার বিস্তাররোধে দেশের সব স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর।
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সব বিপণিবিতান। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আদালতও। এমনকি একাধিক এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশের সব জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।