নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ‘দীর্ঘ দিন যাবত আমরা বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে আসছি, কিন্তু আমাদের রাখা হচ্ছে গণরুমে। রবিবার দুপুরে রাব্বানী ভাই মধুর ক্যান্টিনে এসেছিলো। আজকে আমরা ইচ্ছা করে কেউ তার প্রটোকলে যাইনি। রাতে গেস্টরুমেও আসিনি। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে শপুর নির্দেশে তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন আমাদের থাকার রুমগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তালাবদ্ধ কক্ষগুলো হচ্ছে ২৪৮, ২৩৭, ৪০১ (ক) এবং ৬২৬ (ক)। এই রুমগুলোকে আমরা ৩৪ জন থাকি। আমাদেরকে বলা হয় যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতে পারিস।এ ব্যাপারে শরীফুল ইসলাম শপুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করেছিলো। আমি তখন হলের বাইরে ছিলাম। কে বা কারা তালা লাগিয়েছিলো আমি জানি না। পরে হলে এসে আমি মিটমাট করে তালা খুলে দিয়েছি। রাব্বানী ভাইয়ের প্রটোকলে না যাওয়ায় তালা দেওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন।
তবে অভিযোগ আছে, প্রোগ্রাম-গেস্টরুম না করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ‘জামায়াত-শিবির’ আখ্যা দিয়ে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে মহব্বত নামের এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল আখ্যা দিয়ে বের করার হুমকি দেওয়া হয়।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মকবুল হোসনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ ব্যাপারে পরে জানাবো।
তবে এ ব্যাপারে জানতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।