১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

 

নিজেদের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে কর্মসূচী পালন করতে যেয়ে পুলিশী বাধায় পন্ড

আপডেট: জুলাই ২৮, ২০১৯

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নেক্সট নিউজ প্রতিবেদক:

যে সকল শিক্ষক নেতা কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের সদস্য থাকাবস্থায় কল্যাণ ও অবসর বোর্ডের চাঁদা বৃদ্ধির সভায় উপস্থিত থেকে চাঁদা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়ে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর প্রদান করে সভার সম্মানী ভাতাও গ্রহন করেছেন, তারাই এখন উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুধু অবস্থান নেননি কল্যাণ ও অবসর বোর্ডের কার্যালয় প্রহসনমূলক ঘেরাও করতে এলে পুলিশের বাধারয় পলাশীর মোড় থেকেই তাদের ফিরে যেতে হয়। শিক্ষক নেতাদের এ ধরনের স্ববিরোধী ও মোনাফেকী আচরনে শান্তিপ্রিয় শিক্ষকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির একাংশ (বজলু-কাউসার গ্রুপ) পনের দিন পূর্বে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষনা দিয়ে আজ রবিবার সারাদেশের শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, অতিরিক্ত ৪% চাঁদা কর্তন বাতিলের দাবীতে শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের কার্যালয় ঘেরাও এর কর্মসূচী ঘোষনা করে যা সংগঠনটির ঐতিহ্য এবং বাস্তবতার সাথে সম্পূর্ণ বেমানান।

কারণ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের দূর্দশা লাগবের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কল্যাণ ও অবসর বোর্ডের জন্য ১৭২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য ৫% ইনক্রিমেন্ট ও ২০% বৈশাখী ভাতা প্রদান করা হয়। একই সাথে বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য শিক্ষক কর্মচারীদের চাঁদা কল্যাণ ট্রাস্টে ২% এবং অবসর বোর্ডে ২% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেইদিন কল্যাণ ও অবসর বোর্ডের সভায় উপস্থিত থেকে স্বাক্ষরকারীদের অন্যতম বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমান সাধারণ সম্পাদক) মোঃ কাউসার আলী শেখের নেতৃত্বে আজ রবিবার চাঁদা বৃদ্ধির প্রতিবাদে কল্যাণ ও অবসর বোর্ডের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী পালিত হয়েছে। তাদের এ দ্বিমুখী আচরণ নেতৃত্বের মান, সততা ও মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ, হেয় প্রতিপন্ন করেছে। চাঁদা বৃদ্ধির পরিপত্র ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ড তা বাস্তবায়ন করে মাত্র । অথচ তারা ঘেরাও করেছে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ড। সারাদেশে ঢাক-ঢোল পিটিয়েও স্বল্প সংখ্যক উপস্থিতি শিক্ষক নেতৃবৃন্দের এ ধরনের অবিবেচনা প্রসূত ও হটকারী সিদ্ধান্তের জন্য কর্মসূচীতে অংশগ্রহনকারী শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা ক্ষোভ এবং ঘৃনা পরিলক্ষিত হয়। ঢাকার শিক্ষকদের খুবই নগন্য উপস্থিতিতে ঢাকার বাইরে থেকে আসা শিক্ষকদের প্রচন্ড ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা যায়।
পলাশীর মোড়ে পুলিশের ব্যারিক্যাডের মধ্যে এ সময় বক্তব্য রাখেন বজলুর রহমান, আবুল কাসেম, কাউসার আলী সেখ, রঞ্জিত কুমার, ইকবাল হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
Website Design and Developed By Engineer BD Network