আপডেট: মার্চ ৮, ২০২৫
নেক্সটনিউজ প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে যুবদল থেকে রফিকুল ইসলাম রফিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) সকাল ১১ টায় উপজেলা বিএনপি অফিস কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, “কালিহাতী প্রেসক্লাবকে কেন্দ্র করে আমার নামে যে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, তার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। প্রেসক্লাবে ভাংচুর উল্লেখ করে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার জানামতে এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি কালিহাতী প্রেসক্লাবে। প্রেসক্লাবের যে ঘটনা সেটা সাংবাদিকদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিগত ১৭ বছর আওয়ামী নামধারী যেসব সাংবাদিক সংবাদ পরিবেশনের নামে হলুদ সাংবাদিকতা করেছে তাহা আওয়ামী লেজুড়ভিত্তিক অপসংবাদিকতা ছাড়া কিছুই নয়। ১৭ বছর প্রকৃত সাংবাদিকরা তাদের সত্য সংবাদ প্রকাশ করতে পারে নাই। এর জন্য কালিহাতীর প্রকৃত সাংবাদিকরা তাদের প্রেসক্লাব সংস্কার করেছেন মাত্র। অবৈধ কমিটিকে তারা বিলুপ্ত করেছে এবং সাধারণ সভা ডেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করেছে। এটা সাংবাদিকদের নিজস্ব বিষয় । এর সাথে আমি এবং আমার দল বিএনপি, যুবদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি আরো বলেন, ” গত ৩ মার্চ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল আমাকে নিয়ে যে বহিষ্কারাদেশ প্রদান করেছে তাহা কালিহাতী উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদল,বিএনপি সহ সকল অঙ্গ সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। বহিষ্কারাদেশে আমাকে কেন বহিষ্কার করা হয়েছে তাহার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ আমাদের নিকট প্রেরণ করে নাই। আমাকে বহিষ্কার করার মতো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও কালিহাতীতে ঘটে নাই এবং প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয় নাই। বহিষ্কারাদেশের ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শে প্রতিটা নেতাকর্মীর মাঝে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। যে কমিটির সদস্যপদ থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে সে কমিটি থেকে ২০২২ সালে আমি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে পদত্যাগ করে পদত্যাগ পত্র জমা দেই তৎকালীন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলমের নিকট। কারণ আমি ওই কমিটির পূর্বে কালিহাতী উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলাম। আমাকে আমার পদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি।
আমার পিতা মোঃ আলী আকবর জব্বার দীর্ঘদিন যাবৎ কালিহাতী বিএনপি’র একজন নিবেদিত কর্মী ও নেতা হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে কালিহাতী পৌরসভার তিনবারের নির্বাচিত মেয়র ও দুইবারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি মনে করি যারা এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে তারা আওয়ামীপন্থী পরিবারের লোক। আমার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও আমার পরিবার এবং আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমি বর্তমানে গ্রুপিং রাজনীতির শিকার।আর গ্রুপিং সৃষ্টিকারীর মূল হোতা টাকা দিয়ে পদ কেনা আওয়ামী পরিবারের সন্তান বেনজির আহমেদ টিটো। বেনজির আহমেদ টিটো আওয়ামী এজেন্ট। কালিহাতী বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি ও কেন্দ্রীয় যুবদলকে মিথ্যা বুঝিয়ে এই বহিষ্কার নাটক মঞ্চস্থ করেছে। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী যুবদলকে অনুরোধ জানাচ্ছি, সঠিক তদন্ত কমিটি গঠন করে উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। ”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ফিরোজ মিয়া, মোহাম্মদ আবু বাইজিদ খান,কালিহাতী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক শহীদুর রশিদ, কালিহাতী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রতন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য মোঃ ইয়ামিন, বেল্লাল হোসেন, শাহীন, বাছেদ, আসাদুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, মোঃ শফি, কালিহাতী পৌর যুবদলের সাবেক সদস্য এস এম এনামুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা প্রমূখ।