আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২২
মনির হোসেন,টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের কাগমারী পাথাইলকান্দি গ্রামে গভীর নলকূপের সেচ চাষের নিয়ম ভঙ্গ করে নির্ধারিত টাকা না নিয়ে ধান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার নলকূপের ম্যানেজার শাহ আলমের বিরুদ্ধে।
উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব সেচের জন্য প্রতি শতাংশ জমির জন্য ৮০ টাকা চার্জ নির্ধারণ করা হলেও তা মানছেন না নলকূপের এই ম্যানেজার। তিনি সেচ চার্জ বাবদ টাকা না নিয়ে কৃষকের কাছ থেকে জোড়পূর্বক চার ভাগের এক ভাগ ধান আদায় করে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী কৃষকরা।
কাগমারী পাথাইলকান্দি গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক শামীম তালুকদার বলেন, সরকারি নির্দেশনার অংশ হিসেবে উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদ্যুৎচালিত গভীর নলকূপের সেচ চার্জ বাবদ প্রতি শতাংশ জমির জন্য ৮০ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও তা না মেনে টাকা না নিয়ে জোড়পূর্বক এই এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে চার ভাগের এক ভাগ ধান নিচ্ছেন কাগমারী পাথাইলকান্দী গ্রামের ১৪ নং গভীর নলকূপের ম্যানেজার শাহ আলম ও তার লোকজন। তিনি আরও বলেন এ নিয়ে আমি সহ কৃষকেরা অনেক প্রতিবাদ করলেও সুফল পাইনি। ফলে আমাদের সঙ্গে সেচযন্ত্রের ম্যানেজারসহ তার লোকজনের সাথে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা তৈরি হয়।
একই গ্রামের ভুক্তভোগী আরেক কৃষক আবু সুফিয়ান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সেচ চার্জ বাবদ প্রতি শতাংশ জমির জন্য ৮০ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও আমার জমির ধান কাটার সময় গভীর নলকূপের ম্যানেজার শাহ আলম তার লোকজন দিয়ে আমার নিকট থেকে টাকা না নিয়ে জোড়পূর্বক ক্ষেত থেকে ধান নিয়ে যায়। এ বিষয়ে বার বার নিষেধ বা প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয় নাই।
এবিষয়ে ১৪ নং গভীর নলকূপের ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। কৃষকরা সেচ্ছায় ধান দিচ্ছে। কিছু কুচক্রি লোকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব রটিয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন বলেন, গভীর নলকূপের সেচ চার্জ বাবদ টাকা নির্ধারণ করা আছে। ধান নেওয়ার বিধান নেই। কেউ যদি এটা নিয়ে থাকে তবে তিনি ব্যাক্তিগতভাবে দায়ী থাকবে।